মহান আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন

الذين يقيمون الصلوة ومما رزقنهم ينفقون- اولئك هم المومنون حقا- لهم درجت عند ربهم ومغفرة ورزق كريم-

‘‘যারা নামায কায়েম করে এবং আমার দেয়া রিযিক থেকে ব্যয় করে। তারা হল সত্যিকার ঈমানদার। তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে মর্যাদা, ক্ষমা ও সম্মান জনক রিযিক। [ সূরা আনফাল-৩-৪]

Pages

সহীহ হাদিস সরাসরি অনুসরন করা যাবে কিনা ?

সহীহ হাদিস সরাসরি অনুসরন করা যাবে কিনা ?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
যেকোন মুসলমানকেই কোরআন এবং হাদিস অনুসরন করতে হবে । কিন্তু কিভাবে ? সেভাবেই যেভাবে কোরআন হাদিসকে অনুসরন করতে বলা হয়েছে । যেভাবে সাহাবীরা, তাবেয়ীরা , তাবে-তাবেয়ীনরা , পূরবর্তী ওলামায় কিরাম অনুসরন করেছেন । যেমন একটি উদাহরন দেয়া যাক । বর্তমানে দেখা যায় অনেকেই সিহাহ সিত্তা বা অন্য কোন হাদিস শরীফের কিতাব পড়ে কোন একটি নতুন হাদিস শরীফ সম্বন্ধে জানল । বিষয়টি হয়ত তার কাছে নতুন অথবা তার প্রতিষ্ঠিত কোনো মতের সাথে সাংঘর্ষিক । এখন সে কি করবে ? যেহেতু এটি সহীহ হাদিস স্বভাবতই সবাই বলবেন এই হাদিস শরীফের ওপরই আমল করা উচিত । আসলেই কি তাই ? আসুন নীচের পরিস্হিতি বিচার বিশ্লেষন করে দেখা যাক :
প্রথম পরিস্হিতি :
হাদিস শরীফ: হযরত হুযায়ফা (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন “রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একবার এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা ফেলার স্হানে গমন করলেন । সেখানে এসে তিনি এর ওপর দাড়িয়ে প্রস্রাব করলেন । …. ( তিরমিযী শরীফ ১৩ নং হাদিস )
এখন মনে করুন আপনি এই হাদিস শরীফ পড়লেন এবং সবাইকে বললেন রসুল (সা:) যেহেতু দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন এবং এটা সহীহ হাদিস তাই এই হাদিসের ওপর আমল করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
এখন কিছুদিন পর আপনি তিরমিজী শরীফ আবার খুলে পড়া শুরু করলেন এবং এই হাদিসটি পেলেন :
হাদিস শরীফ: হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্নিত তিনি বলেন “যে তোমাদের কাছে বর্ননা করবে যে রসুল (সা:) দাড়িয়ে প্রস্রাব করতেন , তোমরা তার কথা বিশ্বাস করবে না । তিনি কেবল বসেই প্রস্রাব করতেন । ( তিরমিযী শরীফ ১২ নং হাদিস )
দ্বিতীয় নং হাদিস শরীফ পড়ে আপনি তো মহা সমস্যায় পড়লেন । কেননা আপনি প্রথম হাদিস শরীফ পড়ে আমল করেছেন এবং আপনার হয়ত আরো বন্ধুদের বলেছেন । কিন্তু দেখা গেলো দুটো হাদিস শরীফ সহীহ হওয়া সত্বেও সাংঘর্ষিক ।
চলুন আমরা দেখি আসলে ব্যাপারটা কি । প্রথম হাদিস শরীফের ব্যাখ্যা হোলো রসুলের (সা:) একবার হাটুতে ব্যাথ্যা থাকার কারনে বসতে কষ্ট হচ্ছিল যে কারনে দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছিলেন । ( হাকীম এবং বায়হাকীর রেওয়ায়েতে এটা প্রমান হয় ) কিন্তু রসুলের (সা:) সবসময়ের আমল এটা ছিল না । দুটো হাদিসের মধ্যে আসলে কোনো বিরোধ নেই । কিন্তু সমস্যা তখনই হবে যখন একটি হাদিস পড়ে এবং এ বিষয়ের অন্য হাদিস না পড়ে , ব্যাখ্যা শানে নজুল না জেনে , আলেমদের সাথে পরামর্শ না করেই আমল করা শুরু করব । সমস্যা এখানেই ।
আমি আরো কিছু পরিস্হিতির উল্লেখ করব যে সব ক্ষেত্রে সরাসরি হাদিস অনুসরন করলে বিপদ হতে পারে : যেমন:
দ্বিতীয় পরিস্হিতি : আপনি কোনো সহীহ হাদিস পেলেন , যেটাতে নামাজে কথা বলা যায় এমন ঘটনা বর্ননা করা আছে । কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে এই হুকুম এখনও বলবৎ আছে । কেননা অন্যন্য হাদিস শরীফ দ্বারা আমরা জানতে পারি এই হুকুম পরবর্তিতে মনসুখ ( বা রহিত ) হয়ে গেছে ।
উদাহরন দেয়া হোলো:
হাদিস শরীফ: জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন , রসুলুল্লাহ (সা:) আমাকে একটি কাজে পাঠিয়েছিলেন । আমি ফিরে এসে দেখি , তিনি (সওয়ারীতে আরোহন করে নফল) সালাত আদায় করছেন আমি ( ঐ অবস্হায়) তাকে সালাম দিলাম । তিনি ইংগিতে আমাকে চুপ করতে বললেন । তারপর সালাত শেষ করে আমাকে ডাকলেন এবং বললেন , তুমি এক্ষুনে আমাকে সালাম দিয়েছিলে অথচ আমি সালাতরত ছিলাম । বর্ননাকারী বলেন , তিনি এই সময় পূর্বমুখী ছিলেন । ( মুসলিম শরীফ : ১০৮৬ )
দেখুন এখানে কিন্তু রসুলুল্লাহ (সা:) নামাজের মধ্যেই ইশারাতে তাকে চুপ করতে বললেন ।
এবার এই হাদিসটি দেখুন :
হাদিস শরীফ: যায়দ ইবনে আরকাম (রা:) থেকে বর্নিত যে , তিনি বলেন , আমরা সালাতে কথাবার্তা বলতাম , প্রত্যেকেই তার পাশের ব্যক্তির সাথে আলাপ করত । অত:পর যখন “ওয়া কুমু লিল্লাহি কনিতিন” ( আল্লাহর জন্য দাড়াবে বিনীতভাবে )( ২:২৩৮) আয়াতটি নাযিল হোলো , তখন আমাদেরকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরস্পরে আলাপ করতে নিষেধ করা হয় ।
এছাড়া আরো অনেক হুকুম আছে যেটা আগে নামাজে ছিল পরবর্তিতে নিষেধ করা হয় । যেমন থুথু ফেলা । প্রথমদিকে নামাজ পড়া অবস্হায় বাম দিকে থুতু ফেলা যেত ।
তৃতীয় পরিস্হিতি : এমনও হতে পারে কোনো সহীহ হাদিস দুরকম ব্যাখ্যা হয় এবং দুটোই সঠিক
দেখুন:
রসুলুল্লাহ (সা:) একবার একদল মুসলমানকে নিম্নোক্ত নির্দেশসহ প্রেরন করলেন “বনু কুরায়জায় পৌছে সালাত আদায় করবে” । তার এই আদেশকে শাব্দিক অর্থে গ্রহন করে দলের কিছু সাহাবী নির্ধারিত সময় আসর সালাতের জন্য না থেমে প্রায় সুর্যাস্হ পর্যন্ত সফর অব্যাহত রাখেন এবং বনু কুরায়জায় গিয়ে আসরের সালাত আদায় করেন । আবার কিছু সংখ্যক লোক যারা রসুলের (সা:) আদেশের শাব্দিক অর্থ গ্রহন না করে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুসরন করতে গিয়ে বনু কোরায়জায় পৌছার পূর্বে স্বল্প সময়ের জন্য বিরতি করে আসেরর সালাত আদায় করেন । রসুল (সা:) এর নিকট উভয় দলের ঘটনা বর্ননা করা হলে তিনি বলেছিলেন , উভয়ই সঠিক ।
এই হাদিস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম কিছু ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের দুটি সমাধান হতে পারে যার দুটোই সঠিক । এবং এটাকে আপনি কিয়াসও বলতে পারেন । দুই দল সাহাবী রসুলের (সা:) বক্তব্যের ওপর কেয়াস করেছিলেন এবং দুটোই সঠিক ছিল । ( তবে এমন কিয়াস করতে পারেন শুধু মুজতাহিদগন , আমাদের মত আমজনতা নন )
৪র্থ পরিস্হিতি : এমনো হতে পারে কোনো হাদিসে কোনো একটি কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে , আপনি হয়ত ভাবলেন সেটা সবার জন্য , চিরকালের জন্য নিষেধ । কিন্তু গবেষনা করে দেখা গেল সেটা আসলে সেই ব্যক্তির জন্য এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ , পরবর্তিকালে সবার জন্য সেটা নিষেধ নয় । ( নির্দিষ্ট কিছু সাহাবীকে হাদিস সংকলন করতে নিষেধ করা এই বিষয়ের মধ্যে পড়বে ) ।
প্রথম হাদিস শরীফ (হাদিস বিষয়ে লিখতে নিষেধ করা ): রসুলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমার নিকট হতে কোরআন ব্যতীত তোমরা অন্য কিছু লিখবে না । যে ব্যক্তি আমার নিকট হইতে কোরআন ব্যতীত অন্য কিছু লিখিয়াছে সে যেন তাহা মুছিয়া ফেলে । ( মুসলিম, মোকদ্দামা )
দ্বীতিয় হাদিস শরীফ( হাদিস বিষয়ে লিখতে বলা ) : কোনো কোনো সাহাবার নিকট ক্ষুদ্র পুস্তিকা ছিল হাদিসের সংকলন । আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আসের হাদিস এর পুস্তকখানি এক দৃষ্টান্ত । তিনি তার বই এর নাম রেখেছিলেন “আস সাদিকাহ” । কোনো কোনো সাহাবার দৃষ্টি আবদুল্লাহ ইবনে আমরের বই এর প্রতি পড়ল । তারা বলল , রসুল (সা:) যা কিছু বলেছেন তা আপনি লিখে রাখছেন ? রসুলল্লাহ (সা:) রাগান্বিত হলে এমন কিছু বলেন যা সাধারনত শরীয়ত বলে গ্রহন করা চলে না । অত:পর ইবনে আমর বিষয়টি রসুলের (সা:) কে বললেন । রসুলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমার থেকে যা শ্রবন কর তা লিখে রাখ । ঐ পবিত্র সত্বার শপথ যার হাতে আমার জীবন আমার মুখ থেকে হক ব্যতীত কিছুই বের হয় না ।
প্রথম হাদিস শরীফে লিখতে নিষেধ করা হয়েছে , আর দ্বিতীয় হাদিস শরীফে লিখতে বলা হয়েছে । এর ব্যাখ্যায় আলেমগন বলেন
** অধিকাংশ আলেমগন বলেন অনুমতি দ্বারা নিষেধাজ্ঞা রহিত হয়ে গেছে ।
** কিছু কিছু আলেম বলেন নিষেধাজ্ঞা ছিল তাদের জন্য যাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ছিল তারা “কোরআন” এবং “হাদিস” মিশিয়ে ফেলতে পারেন , কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ছিল না তাদেরকে নিষেধ করা হয়নি।
সূত্র :
১। ইসলামি শরীয়াহ ও সুন্নাহ : মুস্তফা হোসন আস সুবায়ী
২। হাদিসের তত্ব ও ইতিহাস : নুর মোহাম্মদ আজমী
৫ম পরিস্হিতি : কোনো একটি আমল এর ক্ষেত্রে আপনি একটি হাদিস পেলেন যেটা জঈফ , এর ভিত্তিতে আপনি ধারনা করলেন এই আমল করা ঠিক হবে না । কিন্তু এমনও দেখা গেছে ( এবং অনেক ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ) একই “আমলের” বিষয়ে একটি জঈফ হাদিস আছে এবং আরো অনেক সহীহ হাদিস আছে । সুতরাং এই “জঈফ” হাদিসের কারনে এই আমল বাতিল হবে না , যেহেতু এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো সহীহ হাদিস আছে।
৬ষ্ঠ পরিস্হিতি : আবার এমনও দেখা গেছে কোন একটি বিষয়ে শুধুমাত্র “জঈফ” হাদিস আছে । কোনো সহীহ হাদিস নেই । কিন্তু দেখা গেছে “সাহাবীদের (রা:) ” মধ্যে এই আমল প্রচলিত আছে । এতে মুজতাহিদ ঈমামগন বা যারা ফকীহ তারা সিদ্ধান্তে এসেছেন এই আমল নিশ্চয়ই রসুলুল্লাহ(সা:) থেকে এসেছে যেহেতু সাহাবীদের মধ্যে এটা এখনও প্রচলিত আছে। তাই রাবীর কারনে হাদিসটি জঈফ হতে পারে কিন্তু হাদিসটির মুলত গ্রাউন্ড আছে। এবং এই পরিস্হিতিতে এই জঈফ হাদিসের উপর বেস করে আমলটি সম্পূর্ন গ্রহনযোগ্য । সুতরাং এতে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি , জঈফ হাদিস দেখে কেউ যদি বলে এর ওপর আমল করা যাবে না তাহলে সবসময় সেটা সত্য নাও হতে পারে । যেহেতু সাপোর্টিং হিসেবে সাহাবীদের মধ্যে এই আমল প্রচলিত আছে ( যেটাকে কেউ হাদিস বা কেউ “আছারে সাহাবা” বলে থাকেন )।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে “সহীহ হাদিস হলেও সেটা পড়ে সাথে সাথে বিচার বিশ্লেষন না করে অনুসরন করলে বিপদের সম্ভাবনা আছে” । সহীহ হাদিস হলেই সেটা সরাসরি অনুসরন করা যায় না । হাদিস অনুসরন করার এটা পদ্ধতি নয় ।এটা হাদিস অনুসরন করার “বেদআতি পন্হা” । কোনো বই এ সহীহ হাদিস উল্লেখ করে মাসআলা দেয়া থাকলে বলা যাবে না সেটা সহীহ বা সেই বই এর সব মাসআলা বিশুদ্ধ । কেননা এমনও হতে পারে উপরের সমস্যা গুলো লেখক বা গবেষক খতিয়ে দেখেননি ।
বর্তমান কিছু সমস্যার পর্যালোচনা :
আজকাল অনেক সময়ই দেখা যায় কেউ কেউ কোনো একটি হাদিস গ্রন্হ পড়ে একটি হাদিস দেখলো যেটা প্রচলিত “মাজহাবের” আমলের বিপরীত । সাথে সাথে তারা সিদ্ধান্ত আসে “সহীহ হাদিসের ওপর আমল করতে হবে , মাজহাবের এই আমল যেহেতু সহীহ হাদিসের বিপরীত তাই এটা অনুসরন করা যাবে না” । । তাদেরকে আমার কিছু প্রশ্ন :
১) আপনি কি ১০০% নিশ্চিত যে মাজহাবের এই আমলের দলীল সাপেক্ষে সহীহ হাদিস নেই ?
২) আপনার কাছে কি এই নির্দিষ্ট আমল সংক্রান্ত পৃথিবীর সমস্ত হাদিস কালেকশনে আছে , যার ভিত্তিতে আপনি বলতে পারেন মাজহাবের এই আমলের সাপোর্টিং কোনো সহীহ হাদিস নেই ?
৩) আপনি কি নিশ্চিত মাজহাবের এই আমলের সাপোর্টিং হিসেবে সাহাবীদের কোনো আমলে নেই ?
৪) আপনি যে হাদিসকে সহীহ বলছেন সেটা পরবর্তিকালে “রহিত/মনসুখ” হয়নি এ বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত ?
উপরের প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন , তাহলে আপনা-আপনিই এর সমাধান পেয়ে যাবেন । এমন অনেক পরিস্হিতি হতে পারে যেগুলোর সমাধান এত সহজে করা যায় না ।
সাহাবীগন , তাবেয়ীন , তাবে-তাবেয়ীন , সলফে সালেহীনগন এভাবে হাদিস অনুসরন করেননি । এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে কিভাবে ওনারা হাদিস অনুসরন করেছেন ? ওনারা কিভাবে অনুসরন করেছেন সেটা আজকের পোস্ট এর বিষয় না ।
আজকের পোস্টের বিষয় হোলো সরাসরি হাদিস অনুসরন করার যে পন্হা বর্তমানে চলছে সেটা ভুল পন্হা ।
আহলে হাদিস নাম দিলেই বলা যাবে না তারাই একমাত্র “হাদিস” প্রকৃতভাবে অনুসরন করছে । বরং সুন্নত সিস্টেম সেটাই যেভাবে সাহাবীগন , তাবেয়ীগন এবং আগেকার সলফে সালেহীনগন হাদিস অনুসরন করেছেন , যেটা অন্য পোস্টে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে ইনশাল্লাহ ।
ওয়াস সালাম
[ সূত্র: এই পোস্ট লেখার সময় যেসকল বই এর সাহায্য নেয়া হয়েছে ]
১। দরসে তিরমিজী : মাওলানা তকী ওসমানী
২। মুসলিম শরীফ
৩। মাজহাব কি ও কেনো : মাওলানা তকী ওসমানী
৪। ইসলামি উসূলে ফিকাহ : দ: তাহা জাবীর আল আলওয়ানী