শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
আবু আম্র আশ-শাইবানী থেকে বর্ণিত : এই ঘরের মালিক (আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদের ঘরের দিকে ইশারা করে) বলেছেন : আমি রাসূলকে (সা) জিজ্ঞাসা করেছিলাম : কোন ‘আমলটি আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি (সা) উত্তরে বলেছিলেন : “যথা সময়ে সালাত (আদায় করা)।” তারপর তিনি জানতে চাইলেন : তারপর কী?’ তিনি (সা) বলেন : “বাবা-মায়ের সাথে ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করা।” তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তারপর কী?’ তিনি (সা) বললেন : “আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা।” এসব বলার পর তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন : আমি আরও জানতে চাইলে তিনি (সা) আমাকে আরও বলতেন। [বুখারী, খণ্ড : ৮, অধ্যায় : ৭৩, হাদীস : ১]
এই হাদীসে রাসূল (সা) সুস্পষ্ট করেছেন যে, নির্ধারিত সময়কে সালাত আদায় করা আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক প্রিয় ‘আমল। এই ‘আমলটিকে তিনি (সা) বাবা-মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করার ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। এর প্রমাণ হলো হাদীসে ‘তারপর কী?’ ক্রমবাচক পদবাচ্যের ব্যবহার। এই শব্দগুচ্ছটি গুরুত্বের ক্রম বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং আরবি ভাষাভাষীদের কাছে বিষয়টি সুপরিচিত।
আল-হাফিয ইবনু হাজার তার ‘আল-ফাত্হ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন : “ইবনু বাযীযা বলেছেন : এক্ষেত্রে যা লক্ষণীয় তা হলো, সকল দৈহিক প্রচেষ্টার মধ্য থেকে জিহাদকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া, কারণ এতে আত্মত্যাগের বিষয়টি জড়িত। তবে ধৈর্য ধারনের বিষয়টি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কারণ ফরজ সালাতগুলোকে রক্ষা করা, সেগুলোকে সঠিক সময়ে আদায় করা এবং নিজের মা-বাবার সাথে উত্তম আচরণ করার বিষয়টি ধৈর্যের সাথে সংশ্লিষ্ট যা একটি সার্বক্ষণিক বিষয়। সত্যবাদীরা (সদীকূন) ব্যতীতঅন্যকেউ আল্লাহ্র আদেশ পালনের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিকভাবে ধৈর্যশীল থাকতে পারে না। আর আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।”